না ফেরার দেশে চলে গেলেন পাহাড়ের বামপন্থী আন্দোলনের নেতা কমরেড জাহেদ আহমেদ টুটুল(৬০)। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় একটি কালভার্টের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মুহাম্মদ আলী মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা জাহেদ আহমেদ টুটুল মৃত ছিদ্দিক আহমেদের ছেলে। তিনি মাটিরাঙ্গা পৌরসভার বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় কৃষিজীবী কমরেড টুটুল ব্যাক্তিগত জীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক।
তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরের দিকে তার আরেক রাজনৈতিক সহকর্মী ডা. সুশান্ত বড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে রাঙ্গামাটি থেকে খাগড়াছড়ি শহরে ফিরেন টুটুল। রাত ৮টার দিকে ডা. সুশান্ত বড়ুয়াকে খাগড়াছড়ির জিরোমাইল এলাকায় নামিয়ে দিয়ে তিনি একা মোটরসাইকেলে মাটিরাঙ্গার উদ্দ্যেশে রওনা হন। কিন্তু অনেক রাতেও বাসায় না ফেরায় তার সহকর্মীরা সকাল থেকেই চারদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সাপমারা এলাকার মাঝামাঝি একটি কালভার্টের নিচে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পাশে পড়ে ছিল মোটর সাইকেল ও ব্যাগ।
এদিকে তার মৃত্যুতে পাহাড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দুর্গম পাহাড়ে শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিন্দু পাঠশালা। তার মৃত্যুতে অনেকে বন্ধু, স্বজন রাজনৈতিক সহকর্মী শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।












