কার্বন ক্রেডিট বাড়াতে আরও কিছু করার সুযোগ রয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

| শুক্রবার , ১৭ মে, ২০২৪ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

পরিবেশ দূষণে ভূমিকা নগণ্য হলেও বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নির্দোষ ভিকটিমে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। কার্বন নিঃসরণ কমানো ও কার্বন ক্রেডিট বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ স্বউদ্যোগে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আরও অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যাডিজ বা বিস এর আয়োজিত ‘অ্যাপ্লিকেশন অব কার্বন ফিন্যান্সিং : চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি অপশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। বিসের চেয়ারম্যান গাউসুল আজম সরকার, পরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান এবং বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশবিদ এন জু এলিশন য়ি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডকলের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর মোরশেদ।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কার্বন ফিন্যান্সিংয়ে যেসব অর্থায়ন করে, তা মূলত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেশি হয়। সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আরও বিস্তৃত করতে নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করছে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাশাপাশি কার্বন ক্রেডিট বাড়াতে অন্যান্য খাত চিহ্নিত করে সেখানেও বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। কার্বন ক্রেডিট মূলত এক ধরনের অনুমোদন, যার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কার্বনডাইঅক্সাইড বা অন্য কোনো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের অধিকার পায়। এক কার্বন ক্রেডিট এক টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমান। কিছু দেশের সরকার তাদের দেশে বা অঞ্চলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এই সীমা সাধারণত নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রার আকারে ঠিক করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন কোম্পানি বা শিল্পের নিঃসরণের ইতিহাস বা অন্যান্য বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে কারখানার জন্য নিঃসরণের সীমা ঠিক করে দেয় সরকার। যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি নিঃসরণ করে, তাদের অতিরিক্ত ক্রেডিট কিনতে বা জরিমানা দিতে হয়।

কার্বন ক্রেডিটের মুখ্য উদ্দেশ্য হল কার্বনের ওপর মূল্য ধার্য করে এর নিঃসরণ কমাতে উৎসাহ দেওয়া, যা পরিণতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমিত করবে। বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পও কার্বন ক্রেডিট অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আরএমজি খাতের মতই সবুজ বনায়ন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা কার্বন ক্রেডিট অর্জনের উৎস হতে পারে। জাতীয়ভাবে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে এনে কার্বন ক্রেডিট বাড়াতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ধরনের সেমিনার জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করবে এবং কার্বন ক্রেডিট তৈরি করতে আরও নতুন নতুন খাত ও সম্ভাবনা খুঁজে বের করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত ১৫ বছরে পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষায় যেসব সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে, সে বিষয়েও বলেন প্রতিমন্ত্রী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখুলে দেয়া হলো স্লুইচ গেট নৌপথে পণ্য পরিবহন শুরু
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা