নারীকন্ঠ আয়োজিত কবি ডালিয়া নাহারের কার্নিশে মাধবীলতা কাব্যের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় অবলম্বনে লেখা হলেও এ কাব্যে প্রকৃতির প্রতি বিশেষ একটি ঝোঁক প্রতিভাত হয়েছে। কবি পেশায় চিকিৎসক হলেও জগতের অন্যান্য বিষয়ও যে তাঁর মনে অনুরণন তোলে তা আমরা এ বইয়ের কবিতায় দেখতে পাই। কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা পড়ে মনে হয়েছে কবি তাঁর শৈশব–কৈশোর ভুলতে পারেন না বলেই বারবার তাঁকে ছায়াময় মায়াময় ফেলে আসা সময়ে ফিরে যেতে হয়।
গত শনিবার নারীকণ্ঠ পত্রিকা আয়োজিত কবি ডালিয়া নাহারের কার্নিশে মাধবীলতা কাব্যের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন নারীকন্ঠের প্রধান সম্পাদক সাহিত্যিক তহুরীন সবুর ডালিয়া। আলোচনায় আরও অংশ নেন নারীকণ্ঠের উপদেষ্টা ও লেখক বিচিত্রা সেন। নারীকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শাহরিয়ার ফারজানার সভাপতিত্বে ও গল্পকার আহমেদ মনসুরের উপস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নারীকণ্ঠের উপদেষ্টা রোকসানা বন্যা। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা খালেদা আউয়াল ও জিনাত আজম।
কার্নিশে মাধবীলতার প্রকাশক খড়িমাটির কর্ণধার কবি মনিরুল মনির তার বক্তব্যে বলেন, কবিতা হলো সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা। বিভিন্ন সময়ে লেখা কবির কবিতাগুলো মলাটবদ্ধ করে পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল। পাঠক বইটি সাদরে গ্রহণ করলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।
কবি ডালিয়া নাহার তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, স্কুলে রঙিন ছবিযুক্ত কবিতার বই বিশেষভাবে আকৃষ্ট করত। এভাবে কবিতা আমাকে তীব্রভাবে টেনে নেয়। কবিতাবোদ্ধা পাঠকদের আলোচনায় আমি অনেক ঋদ্ধ হয়েছি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারীকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা ও সদস্য সাহানা আখতার বীথি, আসরাফুন্নেসা, চম্পা চক্রবর্ত্তী, আক্তার বানু ফ্যান্সী, নুরুন নাহার ডালিয়া, কানিজ ফাতেমা, মুয়িন পারভেজ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।