টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি এখন থেকে যাদের কার্ড নেই তারাও টিসিবির পণ্য পাবেন। যাদের কার্ড নেই তাদের জন্য নগরীতে ৬০টি ট্রাকসেল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পয়েন্টকে তিন গ্রুপে ভাগ করে প্রতিদিন ২০টি পয়েন্টে কার্ড ছাড়া মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি পয়েন্টে সপ্তাহে দুদিন ট্রাকে করে পণ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম।
টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে কার্ডধারীদের পাশাপাশি কার্ড ছাড়া যারা আছেন তারাও টিসিবির নির্ধারিত পয়েন্টে ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য (৪৭০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন) নিতে পারবেন। প্রতিটি ট্রাকে ৪০০ জনের পণ্য দেওয়া হবে। একটি পয়েন্টে সপ্তাহে দুদিন পণ্য বিক্রি করা হবে। একটি পয়েন্টে বোরবার ও বুধবার, আরেক পয়েন্টে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আরেকটি পয়েন্টে মঙ্গলবার ও শনিবার পণ্য বিক্রি করা হবে।
দীর্ঘদিন থেকে নগরীতে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলদের তৈরি করা ফ্যামিলি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য পেয়ে আসছেন। এই কারণে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল, চসিকের সাবেক কাউন্সিলরদের সাথে যাদের সুসম্পর্ক ছিল তাদেরকে কার্ড দিয়েছেন। অনেক গরিব মানুষ কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই কারণে সরকার সর্বসাধারণের জন্য টিসিবির পণ্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখন থেকে যে কেউ টিসিবির নির্ধারিত পয়েন্টে গিয়ে পণ্য নিতে পারবেন।
টিসিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে নগরীতে কার্ডধারীদের পাশাপাশি নন কার্ডধারী যে কেউ টিসিবির পণ্য পাবেন। কার্ডধারীরা আগের মতো ওয়ার্ডভিত্তিক টিসিবির ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য নেবেন। আর নন কার্ডধারীদের জন্য নগরীর ৬০টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬০টি পয়েন্টকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে প্রতিদিন ২০টি পয়েন্টে ট্রাকে করে পণ্য দেওয়া হবে। একটি পয়েন্টে সপ্তাহে দুদিন ট্রাকে করে পণ্য দেওয়া হবে। নন কার্ডধারীদের জন্য টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম আগামী ২৪ অক্টোবর সকালে বন্দরটিলা অঞ্চলিক অফিসের সামনে উদ্বোধন করা হবে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী আছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন। এর মধ্যে নগরীতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ২ লাখ।