চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং চাহিদার সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই ব্যাপারে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ ঘোষণা করায় দেশের রপ্তানিকারকদের কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এই সংকট দ্রুততম সময়ে কাটিয়ে উঠার জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানোর বড় একটি সুযোগ তৈরি করবে বলেও সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে অত্র বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি, বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যকার সমন্বয় ঘাটতি নিরসনসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপসহ বিশ্বের নান অঞ্চলে কার্গো আমদানি ও রপ্তানিতে গতিশীলতা আনার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই সময় কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে বিরাজিত সমস্যাসমূহ চিহ্নিত এবং তা দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে বিমানবন্দরের কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারেরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিদ্যমান কার্গো টারমিনালের নানা প্রতিবন্ধকতা নিরসনসহ আসন্ন কার্গো পরিবহনের উপযোগী করতে যা যা করা দরকার সেগুলো পূরণকল্পে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশে বলেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করার বিষয়টি আমাদের দেশের জন্য ইতিবাচক। এখন আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবো। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো কাজে লাগিয়ে আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপসহ কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে কার্গো পরিবহন করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।