নগরীর হালিশহর থানাধীন ছোটপুল পুরাতন রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে তুলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার দুই হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে হালিশহর থানা পুলিশ। গত সোমবার গভীর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. মিরন প্রকাশ মিরু (৩৬) ও মো. জমিরকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
হালিশহর থানার ওসি কায়সার আজাদীকে বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। আসামিরা তার দুলাভাইয়ের বন্ধু হওয়ায় তারা পরস্পরের পরিচিত। দুজনই ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালক। এর মধ্যে একজন কিশোরীর প্রতিবেশী এবং অপরজন আগে একই এলাকায় থাকত। রোববার সন্ধ্যায় মিরন ও জমির একটি প্রাইভেটকার নিয়ে এসে কিশোরীকে তার দুলাভাইসহ বেড়াতে যাবে বলে গাড়িতে তুলে নেয়। পরে তারা দুজন গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওসি কায়সার হামিদ বলেন, বিষয়টি কাউকে প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হালিশহর এলাকায় একটি স্থানে নামিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। বাসায় গিয়ে ওই কিশোরী কাউকে কিছু না বলে চুপ থাকে। কিন্তু এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিল সেটা জানার জন্য তার মায়ের জোরাজুরিতে একপর্যায়ে কিশোরী নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ করে। এ ঘটনায় সোমবার গভীর রাতে হালিশহর থানায় মামলা করে কিশোরীর বাবা। রাতেই হালিশহর এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি কায়সার।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জামালখান মোড়ের পিডিবি আবাসিক এলাকার সামনে থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে কৌশলে প্রাইভেট কারে তুলে তারপর ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফোন করে দেখা করার জন্য চাপ দেয় একজন। তা না হলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সে। তখন মেয়েটি কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শাহাবউদ্দিন নামে তাদের একজন মারা যায়।