কদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন ও বোমা ফাটানোর ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ মনে করেন, এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগ কেন, যে কেউ করতে পারে। গতকাল বুধবার সকালে গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন আমীর খসরু। তার কাছে বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু, জাতীয় নির্বাচন, বিএনপির প্রার্থী তালিকা, আওয়ামী লীগের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনের রেইসেও নাই, দেশেও নাই, আওয়ামী লীগের নেত্রীও নাই, তাদের কর্মকাণ্ড স্থগিত আছে। এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগ কেন, যে কেউ করতে পারে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে যদি আপনি রক্ষা চান, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে সঠিক। তিনি বলেন, কারা করছে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আশা করছি, সরকার এই বিষয়ে আরও বেশি সচেষ্ট থাকবে, আরো ভালোভাবে এটার মোকাবেলা করতে হবে। নির্বাচনের আগে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই, বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইউরোপী ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলের যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে সফল জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দিচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, তারা নাগরিক সমাজের সাথে কাজ করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও কথাবার্তার বলছে। এই নির্বাচন দেখতে তাদের পর্যবেক্ষক আসবেৃ সেটাও তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচনটা যাতে সফলভাবে হয় তারা সেদিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এই মুহূর্তে তাদের মনোযোগটা হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। যেহেতু তাদের একটা বড় সম্পৃক্ততা এই নির্বাচনে আছে। তারা চায় এই নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটা ফিরে আসুক।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। যাতে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৪ জনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে মহাসচিবসহ ১০ জনের নাম রয়েছে। তবে তালিকাটি ঘোষণার পর বিভিন্ন আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সহিংসতা দেখিয়েছেন। পরে একটি আসনে মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে একটা নির্বাচনি হাওয়া বইছে এবং জনগণ নির্বাচনের পক্ষে এখন কাজ করছে, প্রতিটি এলাকায় নির্বাচনি একটা হওয়া বয়ে যাচ্ছে। শুধু বিএনপি নয়, প্রায় প্রত্যেকটি দলই তো নির্বাচনের জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, ২৩৬টা আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পরে আমি বলব এটি অনেকটা গ্রহণযোগ্য সকলের কাছে হয়েছে। আমি মনে করি, সব অংশ থেকে যেসব রিপোর্ট এসেছে তারাও বলেছে যে মনোনয়নগুলো ভালো হয়েছে বিএনপির।









