স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল কারাগারে বন্দী হেফাজত নেতারা পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবেন এবং এরই মধ্যে অনেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কখনো বলেননি নুরানি মাদরাসা বন্ধ করে দিবেন। কিভাবে নুরানি মাদরাসা চালু থাকবে, কিভাবে ধর্ম প্রচার হবে সেগুলি নিয়ে চিন্তা করেন। তিনি কোরআন হাদিসের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিবেন না। বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ ছাড়া তিনি ধর্মীয় বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গি উত্থানের পর সবাই কওমি মাদরাসার দিকে আঙ্গুল তুলেছিল। আমরা তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম কওমি মাদরাসায় দ্বীন ও ইসলামের শিক্ষা দেওয়া হয়। এখানে জঙ্গির উত্থান হতে পারে না। এখন আমরা বলতে পারি আলেম ওলামাদের সহযোগিতায় আমরা জঙ্গি দমন করেছি। আমরা সব সময় আলেম ওলামাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপি, ডিআইজি (এসবি) এ জেড এম নাফিউল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক ইউছুফ আলী হাওলাদার, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম ও মাদরাসার সহকারী পরিচালক মুফতি জসিমুদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিকেল সোয়া পাঁচটায় হাটহাজারী মাদরাসা মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করেন। এরপর মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক, হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি ও হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জেয়ারত করেন।