দক্ষিণ কোরিয়ার কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রীকে স্টক কারসাজি ও ঘুষ গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার সিউলের এক আদালতে চার ঘণ্টা ধরে শুনানিকালে সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিন হি (৫২) তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু মুক্ত থাকলে তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ ধ্বংস করতে পারেন, এমন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে আদালত তাকে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
সাবেক প্রেসিডেন্টদের অভিযুক্ত ও কারাদণ্ড দেওয়ার নজির আছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিন্তু একই সময়ে একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর কারাগারে থাকার প্রথম ঘটনা এটি। গত বছর আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করে সবাইকে বিস্মিত করে দিয়েছিলেন ইউন। এতে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় আর এর জেরে শেষ পর্যন্ত ইউন ক্ষমতা হারান। সামরিক আইন জারির চেষ্টার জন্য জানুয়ারিতে ইউনকে গ্রেপ্তার করে তার বিচার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইউনের স্ত্রী কিম দক্ষিণ কোরিয়ায় বিএমডব্লিউয়ের ডিলার ডয়েচ মোটর্সের স্টকের মূল্য কারসাজির একটি পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ৫৭৭৯৪০ ডলারের মালিক হন। তবে ঘটনাটি তার স্বামী দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ঘটেছিল বলে অভিযোগ আছে, কিন্তু এটি ইউনের পুরো মেয়াদকালে একটি ছায়া ফেলে রেখেছিল। কিমের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হচ্ছে, তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ফরাসি ফ্যাশন হাউজ চ্যানেলের দুটি হ্যান্ডব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস গ্রহণ করেছিলেন।