অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহমদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জাফর আহমদ টেকনাফ থানাধীন লেঙ্গুরবিল এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে। খবর বাংলানিউজের।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তী জামিনে ছিলেন টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি শেষে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত জাফর আহমদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহমদ ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ১০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন এবং একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার উপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক (বর্তমান সহকারী পরিচালক) মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে ২০১৯ সালে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন।