কারাগারের আরেকটি ইউনিট চালু করে স্থান সংকুলান সম্ভব

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনকালে ধর্ম উপদেষ্টা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ জুলাই, ২০২৫ at ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম কারাগারটি ব্রিটিশ আমলের। এখানে আসামিদের স্থান সংকুলান হয় না। আসামিদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এ কারাগারের আরেকটি ইউনিট চালু করে স্থান সংকুলান সম্ভব। কারাবন্দিদের মানবাধিকার রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কোনোও ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলেই তিনি অপরাধী নাও হতে পারেন। মিথ্যা মামলায়ও অনেকে আটক হতে পারে। সামাজিক কারণেও অনেকে মিথ্যা মামলায় আটক হন। যতক্ষণ আদালত কর্তৃক কাউকে দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং শাস্তি দেওয়া না হয়, ততক্ষণ তাকে অপরাধী বলা যাবে না। আবাসন সংকটের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, কারা অভ্যন্তরে উপাসনালয় ব্যবস্থা থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কারাগার কেবলই শাস্তির স্থান নয়, এটি সংশোধনাগারও বটে। এখানে কোনও উপাসনালয় নেই। মুসলমানদের জন্যও নেই, হিন্দুদের জন্যও নেই। তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে অন্তত একটি কক্ষে মুসলমানদের এবং একটি কক্ষে হিন্দুদের উপাসনালয় ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। এ কাজে তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কারাগারে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে ড. খালিদ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কারাগারে ধর্মীয় শিক্ষক নিযুক্ত করে কারাবন্দিদের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটানো সম্ভব। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আদালতে আসামিদের ডিজিটাল হাজিরা ও দর্শনার্থীদের জন্য অনলাইনে সময়সূচি অবহিত করাসহ কারাগারের আধুনিকীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এসময় ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতান, সিনিয়র জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম এবং বেসরকারি কারা পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৬ জুলাই : আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ
পরবর্তী নিবন্ধ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধি নিতে ইচ্ছুক নন অধ্যাপক ইউনূস : প্রেস উইং