বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, ট্যানারি ব্যবসায়ীরা যদি ইচ্ছা করে দাম কমানোর জন্য কারসাজি করে তাহলে আমরা কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির অনুমতি দেব। আমরা আশা করি এমনটি হবে না।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার দাম ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
এবার গরমের মৌসুম হওয়ায় কোরবানির ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই চামড়াতে লবণ যুক্ত করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
এক্ষেত্রে কোরবানির হাট থেকেই প্রয়োজনীয় লবণ কিনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। চামড়ার ভালো দাম পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
সারা দেশের লবণযুক্ত চামড়া পর্যায়ক্রমে ঢাকায় আনা হবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের পরবর্তী সাত দিন ঢাকায় বাইরের চামড়া যাতে না আসে সেজন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। লবণের কোনো ঘাটতি নেই। তাই লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার মোটামুটি অর্ধেক হয় এই কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে। পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।