কারখানা মালিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা

চান্দগাঁওয়ে চিকিৎসা বর্জ্য মজুদ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করায় খাজা ট্রেডিং (ইউনিট ১ ও ২) নামে একটি কারখানার মালিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আসামিরা হচ্ছেন কারখানার মালিক মো. জুবের আলম (৩৮) এবং তার ভাই কারখানার ম্যানেজার মো. জুনায়েদ হোসেন (৩০)। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোমানা আকতার বাদী হয়ে গতকাল চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে নগরের চান্দগাঁও থানার হাজারীপুল মাইজপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৫ কেজি ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা বর্জ্য জব্দ করে। এসময় জুনায়েদকে আটক করে চান্দগাঁও থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার পরিচালিত ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুুদুল হক। তিনি আজাদীকে বলেন, ‘খাজা ট্রেডিং’ এর ইউনিট ১ ও ২ থেকে ইঞ্জেকশনের খালি ভায়াল, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও সুঁই, ক্যাথেটার, রক্ত সঞ্চালন ব্যাগ, টিউব, ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও ধাতব কোটা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আনন্দবাজারস্থ অত্যাধুনিক ইনসিনারেটর প্লান্টের মাধ্যমে ধ্বংস করার জন্য তা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

এ কর্মকর্তা বলেন, পরিদর্শনকালে দেখতে পাই ২৫৩০ জন মহিলা ও পুরুষ শ্রমিককে চিকিৎসা বর্জ্য পৃথক করছে। ইউনিট দুটোর কোনোটিরই পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং চিকিৎসা বর্জ্য মজুদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স নেই। কারখানার মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ও চিকিৎসাবর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৫ মাসে নিখোঁজ শতাধিক
পরবর্তী নিবন্ধতিন বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ