চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের মার্কেট টেরীবাজারে ব্যবসায়ী–কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় টেরীবাজারে শুরু হওয়া সংঘাত চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ঈদের আগে টেরীবাজারে রাতভর বেচাকেনা হলেও সংঘর্ষের কারণে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা আজাদীকে বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং পুলিশের মধ্যস্থতায় বকশিরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে রাত তিনটার দিকে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের বৈঠকের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে উত্তেজনা পুরোপুরি নিরসন হয়নি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবীর আজাদীকে বলেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি, কিন্তু সেহরির সময় হয়ে যাওয়ায় ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ সমাধান হয়নি। পরে আজ (রোববার) বিকেল তিনটার দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছি। বৈঠকে উভয় পক্ষই তাদের ছোট ছোট ভুলগুলো স্বীকার করেছেন। এর ফলে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতে সক্ষম হয়েছি। পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টেরীবাজারের কাটাপাহাড় লেনে ব্যবসায়ী জুনায়েদ হক সেজানের মালিকানাধীন এস এম ফেব্রিক্স নামে একটি পাইকারি দোকানে স্থানীয় বকশিরহাট এলাকার বাসিন্দা ইফতেখার কাপড় কিনতে যান। কাপড়ের নমুনা দেখানো নিয়ে ইফতেখারের সঙ্গে দোকান কর্মী জাবেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অন্যান্য দোকান থেকেও লোকজন বের হয়ে সেখানে যান। ইফতেখারের সঙ্গে তাদের কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। ইফতেখার টেরীবাজারের পার্শ্ববর্তী বকশিরহাট এলাকায় গিয়ে তাকে মারধরের কথা বললে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে টেরীবাজারে এলে উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট–পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে উভয়পক্ষ।
টেরীবাজারের প্রায় দুই হাজার দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে ৮–১০ জন সামান্য আহতের খবর পাওয়া গেছে।