কাপ্তাই হ্রদে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি কমে যাওয়া এবং মাছের প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি, অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্রদে মাছ শিকার, বিপণন ও পরিবহন বন্ধে আগামী তিন মাসের জন্য বিধি–নিষেধ জারী জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এমন তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ২০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে চলতি বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার, হ্রদের মাছ বিপণন, পরিবহন এবং স্থানীয় বরফকল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এসময়ের মধ্যে কেউ যদি এ আদেশ অমান্য করে কোনো উপায়ে হ্রদে মাছ শিকার, বিপণন এবং পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হ্রদের মাছ অবৈধ শিকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে নৌ পুলিশ, বিজিবি এবং মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ টহল জোরদার রাখবে। এছাড়া হ্রদে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের শাস্তি প্রদানে মোবাইল কোর্ট প্রস্তুত থাকবে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, হ্রদের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। অভয়াশ্রমগুলো হলো– জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘাট, রাজবন বিহার ঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিস ঘাট এবং নানিয়ারচর ছয় কুড়ি বিল। এই অভয়াশ্রমগুলোতে সারা বছর মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে। এদিকে হ্রদে তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধকালীন নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে বলে জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়।
এসময় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রাঙমাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দসহ মৎস্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।