দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার স্বাদু পানির কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদকে পুনঃযৌবনে ফেরত আনতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদকে পুনঃযৌবনে ফেরত আনতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা যদি থাকে তাহলে এই কাপ্তাই হ্রদকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফেরত আনা সম্ভব।
গতকাল শনিবার রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এদিন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, নৌ–পুলিশের অতিরিক্ত আইজি আবদুল আলীম মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ প্রমুখ। বক্তব্য দেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, উদয়ন বড়ুয়া। শেষে কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মৎস্য মন্ত্রীসহ অন্যান্যরা অতিথিরা।
কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ‘চলতি মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে ৫৫ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। উদ্বোধনী দিনে এক মেট্রিক টন পোনা ছাড়া হচ্ছে।
এছাড়া কাপ্তাই হ্রদ নির্ভর রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির দশ উপজেলার ২৬ হাজার ৮৬৬ জন জেলেকে ভিজিএফ খাদ্যশস্য হিসেবে ২০ কেজি করে তিন মাস চাল সহায়তা করা হবে। তবে এবছর আমরা ভিজিএফ চাল বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি। মন্ত্রণালয় বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছে।