অবশেষে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া অংশের ভাঙাচোরা স্পটগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির রাঙ্গুনিয়ার বুড়ির দোকান, ওয়াসার খাঁ মসজিদ এলাকা, আজিমনগরসহ বেশ কিছু স্পটে তীব্র খানাখন্দে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল যাত্রীদের। এই নিয়ে দৈনিক আজাদীসহ আরো কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তা সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর হলে অবশেষে ভাঙাচোরা স্পটে জরুরি সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে সংস্কারসহ দুইপাশে ৫ ফুট করে ১০ ফুট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে বাস্তবায়ন হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে সড়কটি যেন চার লেনে উন্নীতকরণ করা হয়, সেই দাবি চালক ও যাত্রীদের।
জানা যায়, উত্তর চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ বাসিন্দাদের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত মাধ্যম কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া অংশের বেশ কিছু অংশে তীব্র খানাখন্দ দেখা দেয়। এমনকি সড়কের বুড়ির দোকানসহ বেশ কিছু স্পটে খানাখন্দের কারণে অনেকটা মরণফাঁদ সৃষ্টি হয়েছিলো। বড় বড় গর্তগুলো একেকটি ডোবায় রূপ নিয়েছিলো। যেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটতো। এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সড়কটিতে জরুরি সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অধিক ভাঙাচোরা বুড়ির দোকান, ওয়াসা, আজিমনগর এলাকায় সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবসান হলো। তবে স্থায়ী সংস্কারসহ সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের দাবি যাতায়াতকারীদের। রাশেদ কালাম চৌধুরী নামে এক যাত্রী জানান, দীর্ঘদিনের জনভোগান্তি কমানোর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে মানসম্মত কাজ ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ যাতে অব্যাহত থাকে। যাতে কয়েক দিন পর আবার আগের অবস্থায় যেন না হয়। কাপ্তাই সড়কের পরিবহন সংস্থা সংশ্লিষ্ট কপিল উদ্দিন জানান, সড়কটিতে প্রায়শই খানাখন্দ দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ জরুরি সংস্কার করলেও, তা আবারও উঠে যায়। তাই বছরের পর বছর সংস্কার আর খানাখন্দের আবর্তে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই সড়কটির টেকসই উন্নয়ন ও চার লেনে উন্নীতকরণ এখন সময়ের দাবি।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইউনুস জানান, ইতোমধ্যেই সড়কের ভাঙাচোরা তিনটি স্পটে জরুরি সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে সত্যপীর মাজার এলাকায় কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ভবানিমিলসহ বিভিন্ন স্পটে ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক সংস্কার কাজ করা হলেও স্থায়ীভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই পাশে ৫ ফুট করে ১০ ফুট বাড়ানোসহ স্থায়ীভাবে সড়কের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে কাজটি শুরু হতে পারে। চার লেনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহল সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।












