ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই প্রধান সড়কের দুটি স্থানে উপড়ে পড়েছে গাছ৷ এতে দুই ধাপে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
শুক্রবার (৩০ মে) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সড়কের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় দুটি গাছ এবং সকাল ৯টার দিকে একই সড়কের মরিয়মনগর কাটাখালী এলাকায় রাস্তার উপর একটি গাছ উপড়ে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো অপসারণ করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সড়কের পাশ ঘেঁষে শত শত গাছ ঝুকে রয়েছে। মরা গাছের সারিও রয়েছে এই সড়কে। এসব কারণে কাপ্তাই সড়ক যেনো মৃত্যুফাঁদ! তবে এসব গাছ অপসারণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ জাহেদুর রহমান জানান, ভোর সাড়ে ৬টা দিকে একজন চালকের মাধ্যমে খবর আসে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পশ্চিমে সড়কে দুটি গাছ উপড়ে পড়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বড় রেইন্ট্রি গাছ সড়কের দক্ষিণ পাশ থেকে উপড়ে উত্তর পাশ পর্যন্ত চলে গেছে।
গাছ দুটি অপসারণ করতে দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। এসময় দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর কাটাখালী এলাকায় সকাল ৯টার দিকে সড়কের উত্তর পাশ থেকে বিশালাকৃতির একটি রেইট্রি গাছ উপড়ে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আধাঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছটি অপসারণ করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন স্থানে দুই পাশে থাকা গাছের ডালপালা বৃদ্ধি পেয়ে সড়কের উপর ঝুলে আছে। এমনকি অনেক স্থানে গাছের গোড়ার মাটিও সড়ে গেছে। কোথাও আবার বেশ কিছু মরা গাছপালাও দেখা গেছে। সামান্য বাতাসেও এসব গাছ এবং ডালপালা ভেঙে পড়ছে সড়কের উপর। এতে সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথচারী ও যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়া সেকশনে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (এসও) মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, “সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”