কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, একে রক্ষা করতে হবে : ফরিদা আখতার

পোনা অবমুক্ত ও মৎস্যজীবীদের মাঝে খাদ্যশস্য বিতরণ

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৩ মে, ২০২৫ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত ও মৎস্যজীবীদের মাঝে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের অবতরণ ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, এই লেককে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এসময় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মাছ ধরা বন্ধের সময় যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে সে জন্য কাপ্তাই হ্রদে নজরদারি বাড়ানো হবে। কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে, সেটি বন্ধে জোর দেওয়া হবে। বন্ধের সময় ভিজিএফের মাধ্যমে ২০ কেজি চাল থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হবে। এবছর কাপ্তাই হ্রদে ৫৬ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে প্রায় ২৭ হাজার জেলেকে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হবে। মাছ ধরা বন্ধের ৩ মাস একটি কার্ডের বিপরীতে ২০ কেজি করে চাল পাবে জেলেরা।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য ৩ মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এসময় হ্রদ থেকে মাছ আহরণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন বন্ধ থাকে। চলতি মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য আহরণ করা হয়। এর বিপরীতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা শুল্কহার আদায় হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীমান্তে ভারতের পুশইন সুপরিকল্পিত : বিজিবি ডিজি
পরবর্তী নিবন্ধঈদের আগে-পরে ৬ দিন চলবে না ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান