পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, কাপ্তাই লেক হচ্ছে দেশের অন্যতম একটি মৎস্য ভান্ডার। কাপ্তাই লেকের সঙ্গে এখানকার মানুষের জীবন–জীবিকা জড়িত। তবে কাপ্তাই লেকে পলি যেভাবে বাড়ছে, এতে করে লেকের গভীরতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরি। গতকাল রোববার দুপুরে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য আমি যথাসাধ্য কাজ করে যাব।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ ছিল এই কাপ্তাই বাঁধ। আবার এ কাপ্তাই হ্রদ থেকেই আয় হচ্ছে এখন চার হাজার কোটি টাকা। এই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে ড্যাম তৈরি করে বহুমুখী আয়বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে। এখানে লাখো মানুষের আয়ের সংস্থান হবে। পানিপ্রবাহ কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না। মাছের উৎপাদন ও মানুষের জীবন–জীবিকা বাড়াতে পানি বাড়াতে হবে। মতবিনিময় সভায় রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, রাঙামাটির পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আকতার, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের, রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোকবিকাশ চাকমা, কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ প্রমুখ। সভার শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে পৃথক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিএফডিসির রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।