কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত নতুন একটি সড়ক নির্মিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। কাপ্তাইয়ের নৌবাহিনী যাবার পথের পাশ ধরে নির্মিত হয়েছে এই সড়কটি। কয়েকটি পাহাড়ের চুড়া কেটে এবং বন বিভাগের কিছু গাছ কর্তন করতে হয়েছিল এই সড়ক নির্মাণে। সড়কটি নির্মাণের সময় শুধু চিন্তা করা হয়েছিল কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি যাতায়াতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় কম লাগবে। তখন মোটেও ভাবা হয়নি যে এই সড়কটি একসময় পর্যটন সড়ক হিসিবে পরিচিতি পাবে। নতুন নির্মিত এই সড়কের পাশে গড়ে উঠবে বিপুল সংখ্যক রেস্টুরেন্ট। এখানে শতশত লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। শুধু সময় বাঁচাতে নয় একসময় আনন্দ পেতেও মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করবে।
মাত্র ১৮ থেকে ২০ বছরের মাথায় কাপ্তাই রাঙ্গামাটি আসামবস্তি সড়ক হয়ে উঠেছে বিনোদনের অন্যতম একটি উপলক্ষ। প্রতিদিন শতশত যানবাহনে চড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই সড়ক পথ দেখতে এবং বেড়াতে আসেন। অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম সড়ক, একপাশে বিশাল কাপ্তাই লেক আরেক পাশে কোথাও কোথাও ছোট বড় পাহাড়। নীল আকাশের নিচ দিয়ে এই পথে মোটর সাইকেল, কার, জীপ, মাইক্রো, সিএনজি চালিত রিঙাসহ সব ধরণের যানবাহনে চড়ে এই সড়কে পথ ভ্রমণ করতে সত্যিই চমৎকার লাগে।
বার্গী লেকের ম্যানেজার তুফান চাকমা বলেন, তাদের এখানে ১২টি রিসোর্ট রয়েছে। দুর দুরান্ত থেকে অনেকে বেড়াতে এসে এই রিসোর্ট রিজার্ভ করে এখানে রাত্রী যাপন করেন। বরগাংয়ের ম্যানেজার মিল্টন চাকমা জানান গত ২ দিন ধরে তাদের রিসোর্টে ৩০টি মোটর সাইকেল নিয়ে একটি টিম এসে অবস্থান করেন। কাপ্তাই লেক, পাহাড়, সবুজ অরণ্য সব কিছু দেখে পর্যটকরা মুগ্ধ।
লাভ পয়েন্টের ম্যানেজার এডিশন চাকমা বলেন, ৪০ জনের একটি দল গাড়ি নিয়ে তাদের এখানে দুপুরে খাবার খেতে আসেন। তাৎক্ষনিক আমাদের কাছে এত লোকের রান্না করা খাবার তৈরি ছিলনা। কিন্তু এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে তাদেরকে কাপ্তাই লেকের মাছ, মুরগি, আলু ভর্তা, ডাল এবং সাদা ভাত খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
শুধু দূর দূরান্তের মানুষই নয় কাপ্তাই এবং রাঙ্গমাটির মানুষও এখানে বেড়াতে আসেন। রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের রিন্টু চাকমা জানান, তারা সময় পেলেই এই সড়কে ঘুরতে আসেন। এখানে যে আনন্দ পাওয়া যা বলে বোঝানোর মত নয়।