কাপ্তাই জেটিঘাটে বিশাল এলাকা জুড়ে কচুরিপানার স্তূপ জমা হয়ে আছে। এই জন্য জেটিঘাটে নৌ চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ প্রতিদিন শতাধিক নৌ–যান এই জেটিঘাট দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছে। কাপ্তাই ফিশারি ঘাটের বোটও এই নৌ পথে চলাচল করে থাকে। বর্তমানে কচুরিপানার জটের কারণে ফিশারির বোটও চলাচল করতে পারছে না।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকার প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কচুরিপানার স্তূপ জমে আছে। এই কচুরিপানার স্তূপ ঠেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নৌ–যান চলাচলের চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি ইঞ্জিন নৌকার মাঝি দেলোয়ার হোসেন জানান, যে স্থান পার হতে স্বাভাবিক সময়ে ২ মিনিট লাগে সেখানে এখন ২ ঘণ্টাও পার হতে পারছি না। কাপ্তাই লেকে ঠেঁসে থাকা কচুরিপানার স্তূপ ঠেলে ইঞ্জিন বোট চালাতে গিয়ে প্রায় সময় ইঞ্জিনের ফ্যান ভেঙ্গে যায়। এর ফলে আমরা আর্থিকভাবেও ক্ষতির শিকার হচ্ছি। জেটিঘাট বোট চালক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস মিয়া জানান, বিগত ১৫ দিন ধরে আমরা এই কষ্ট ভোগ করে আসছি। কাপ্তাই লেকে বোট চালাতে না পারায় শতাধিক মাঝি বেকার হয়ে আছেন। আয় রোজগার না থাকায় অনেকে চরম কষ্ট ভোগ করছেন। তিনি বলেন, এই কচুরিপানা সরানোর দায়িত্ব কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই প্রজেক্টে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে প্রচুর কচুরিপানা সরিয়েছি। কাপ্তাই লেকের পানির সাথে বিশাল আকারের কচুরিপানার স্তূপ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দিয়েছি। তারপরও রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে কচুরিপানার স্রোত এসে কাপ্তাই জেটিঘাটে জমা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি সাংসদ দীপংকর তালুকদারের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান।
বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি কাপ্তাই লেকে কচুরিপানার জট সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। লেক থেকে কচুরিপানা অপসারণের জন্য অচিরেই একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। তবে কচুরিপানার কারণে যারা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে ব্যাপারেও তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।