কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনাস্থ মিতিঙ্গাছড়ি এলাকা থেকে গতকাল রোববার ৪শ ঘনফুট সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করেছে ৪১ বিজিবি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীরা কেটে পাচারের জন্য এসব কাঠ জড় করেছিল। খবর পেয়ে ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ অভিযান পরিচালনা করে কাঠ গুলো উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ টাকা হবে জানা গেছে। কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দন আহমেদ কাঠ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধারকৃত কাঠ গুলোসহ গত ১৬ দিনে ৪১ বিজিবি কর্তক ৮৬ লাখ টাকা মূল্যের সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে ৪১ বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমান সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধারের ঘটনা পুরো কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সাড়া পড়েছে। সংঘবদ্ধ কাঠ চোরের দল সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব মূল্যবান কাঠ অবৈধভাবে কেটে পাচারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি সৈনিকরা অভিযান পরিচালনা করে কাঠ গুলো উদ্ধার করেন। সূত্র জানায় ১ম দফায় গত ২ অক্টোবর কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা থেকে ৫শ ঘনফুট মূল্যবান সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করে বিজিবি। উদ্ধার কৃত কাঠের মূল্য ৩০ লাখ টাকার অধিক হবে বলে জানা গেছে। ২য় দফায় গত ১০ অক্টোবর কোদালা এলাকা থেকে ৬শ ঘনফুট সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করে বিজিবি।
২য় দফায় উদ্ধারকৃত কাঠের দামও ৩০ লাখ টাকার অধিক হবে বলে জানা গেছে। তৃতীয় দফায় গত ১৫ অক্টোবর রাইখালী এলাকা থেকে ২শ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ টাকা হবে বলে সুত্রে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত সব সেগুন ও গামাটির কাঠের আনুমানিক মূল্য ৮৬ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে। কাঠ উদ্ধার অভিযানে নের্তৃত্ব দেন ৪১ বিজিবি কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ । বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে মূল্যবান কাঠ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন।