কাপ্তাইয়ে বিস্ফোরণে পিতা–পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মো. ইসমাইল মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে মো. রিফাত হোসেন (৭)। এই ঘটনায় রিফাতের মা সখিনা বেগম (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাপ্তাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাদশা মাঝির টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার সময় ইসমাইল মিয়ার বাসা থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় ঘরে আগুনের ফুলকিও দেখা যায়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রথমে মানুষ ভয় পেলেও পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পিতা ইসমাইল মিয়া, পুত্র রিফাত ও রিফাতের মা সখিনা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রওশন আরা রব বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। একই সাথে দমকল বাহিনীর লোকজনও ঘটনাস্থলে আসেন। তবে কিসের বিস্ফোরণ হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি। বোমা বিস্ফোরণ নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা তা নিশ্চিত হতে বোমা বিশেষজ্ঞকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. ওমর ফারুক রনি বলেন, ৩ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় আনা হলেও পিতা–পুত্রকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। আর সখিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রেফার করি। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান রাত ৯টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। কাপ্তাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, বিস্ফোরণে মৃত ইসমাইল একজন দিনমজুর। তবে কিসের বিস্ফোরণ তা যাচাই করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এঙপার্ট আসছেন।
কাপ্তাই থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন গত রাত ১১টায় আজাদীকে বলেন, বিস্ফোরক টিম ঘটনাস্থলে এসেছে। তবে তারা রাতে কাজ করবে না। আগামীকাল (আজ) দিনের বেলায় তারা কাজ করবে।