রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলার ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান হত্যায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১২টার সময় থানায় মামলা করেছেন নিহতের বোন দুধ নাহার।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান হত্যায় ৩২ জনের নামে মামলা হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এই মামলায় ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত ৭ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আটক আসামিরা হলো মো. সালাউদ্দীন (২৯), মো. আলাল উদ্দীন (৩৬), আরিফুল ইসলাম বাবু রুবেল (২৮), মোশাররফ হোসেন (৫০), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. সোহেল (২৭) এবং গোলাম রসুল সবুজ (২৫)।
আটক আসামিদের আজ (২৮ অক্টোবর) রাঙামাটি জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা ইতিমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের ধরার জন্য অভিযান চলছে বলে জানান কাপ্তাাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন।
এদিকে, ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার কাপ্তাই সফরে আসেন। ডিআইজি কাপ্তাই এবং চন্দ্রঘোনা থানা পরিদর্শন করেন।
সজিব হত্যাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি সংশ্লিস্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন। ভবিষ্যতে কাপ্তাই ও চন্দ্রঘোনা থানা এলাকায় যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর নির্বাচনী দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সজিবুর রহমান খুন হন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমা সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান।