কাপাসগোলায় নবরূপে দেমিরেল স্বাস্থ্য ক্লিনিকের যাত্রা

নতুন হাসপাতালে নির্মাণে তুরস্কের সহযোগিতা চান মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ

নগরের চকবাজার কাপাসগোলায় নবরূপে যাত্রা শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন দেমিরেল স্বাস্থ্য ক্লিনিক। ১৯৯৬ সালে তুরস্কের নবম রাষ্ট্রপতি সুলেমান দেমিরেলের স্ত্রী নাজমিয়ে ডেমিরেলের নামে প্রতিষ্ঠা করা হয় ক্লিনিকটি। ২০২০ সালে হাসপাতালটি সংস্কার ও আধুনিকায়নে নতুনভাবে কাজ শুরু করে তুরস্ক। এতে অর্থায়ন করে তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি বিভাগ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি (টিকা)। আধুনিকায়নের পর গতকাল হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আধুনিকায়নের পর বর্তমানে এ ক্লিনিকে ডায়াগনস্টিক ল্যাব, গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ সেবা, জরুরি চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে চাই। বর্তমানে অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর উন্নতি করতে নতুন হাসপাতাল গড়তে চাই। তুরস্ক এ হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করতে রাজি হলে আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে ভূমি বরাদ্দ দেব এবং সব রকমের সহযোগিতা করব।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এই ক্লিনিকটি তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে জনগণকে সেবা দেবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও সেবাখাতসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়নে তুরস্ক পাশে থাকতে চায়।

বিশেষ অতিথি তুরস্কের অনারারি কনসুলেট জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র যাতে চট্টগ্রামকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে পারেন সেজন্য তুরস্কের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিতে আমি কাজ করছি। ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত অনেক পিছিয়ে আছে। এ ক্লিনিকটি চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

সিটি মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সির (টিকা) বাংলাদেশি কোঅর্ডিনেটর সেভকি মার্ট বেরিস, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নুর বানু চৌধুরী, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুমা বড়ুয়া ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সিটি মেয়র রাষ্ট্রদূতকে সাথে নিয়ে হাসপাতালের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে সিটি কর্পোরেশন আইটি ইনকিউবেশন সেন্টারের পাশে প্রায় দশ একর ভূমি ঘুরে দেখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহামারীর শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের অনুভূতি ‘আইসিইউ’
পরবর্তী নিবন্ধআখেরি মোনাজাতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া