নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের গোলাগুলিতে আলাউদ্দিন নিহতের ঘটনায় পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ দায়ের হয়েছে আদালতে। খবর বিডিনিউজের।
বাদীর আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, রোববার জেলার ৪ নম্বর আমলী আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করেন আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু।
বিচারক এসএম মোসলেহ্ উদ্দিন মিজান শুনানি শেষে এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানাতে কোম্পানিগঞ্জ থানাকে আদেশ দিয়েছেন। এরআগে কোম্পানিগঞ্জ থানায় মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন এমদাদ হোসেন রাজু।
আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে আদালত অভিযোগটি দিনেরকার্য তালিকায় রেখে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল সাপেক্ষে বিকালে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রাখে। পরে বিকালে শুনানি শেষে আদেশ দেয়।
“বিকেলে শুনানি শেষে এবিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে কিনা তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে কোম্পানিগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছে।”
এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে এমদাদ হোসেন রাজু কোম্পানিগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ আসামির তালিকা থেকে আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ দিতে চাপ দেয় বলে এই মামলার বাদী এমদাদ হোসেন রাজুর অভিযোগ।
গত মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌর এলাকায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সংষর্ঘ ও গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষের মধ্যে অটোরিকশাচালক সাবেক যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে নানা বক্তব্যে আলোচনায় আসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। এর জের ধরে উত্তেজনার মধ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির, যিনি পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এরপর ৯ মার্চ বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে ফের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন (৩২)।
এদিকে মামলার বাদী এমদাদ হোসেন রাজু হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে নানাভাবে জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। মামলা করতে এসেছেন বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে।
আদালতে নিহত আলাউদ্দিনের মা মরিয়মের নেছাও এসেছেন। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেছেন।