দোহাজারী–কক্সবাজার নির্মাণাধীন রেললাইনের লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের খান সাহেব সড়কের সংযোগস্থল বৃষ্টির কারণে কাদায় একাকার হয়ে গেছে। ফলে সড়কের ওই স্থান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারী জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলা সদর বটতলী স্টেশন থেকে আমিরাবাদ স্কুল রোড হয়ে খান সাহেব সড়কের পশ্চিম আমিরাবাদ এলাকায় নির্মাণাধীন রেললাইনের সংযোগস্থল অবস্থিত। ওই সড়ক দিয়ে মাস্টার পাড়া, খাসিয়ার পাড়া, উদ্দান পাড়া ও রোকেয়ার বর পাড়ার প্রায় ৫ হাজার লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এছাড়া উক্ত সড়ক দিয়ে দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলাম বারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আমিরাবাদ সুফিয়া আলিয়া মাদরাসা, আমিরাবাদ জনকল্যাণ বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফাতেমাতুজ জোহরা মহিলা মাদরাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিবেচনায় ইতোমধ্যে রেললাইনের সংযোগস্থলে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু আন্ডারপাস এলাকা সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন রেললাইনের সংযোগস্থল আন্ডারপাস এলাকায় সড়ক কাদায় একাকার। গাড়ি চলাচল দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচলও করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক যাত্রীবাহী গাড়ি ওই স্থান থেকে ফেরত যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয় নাজিম উদ্দিন জানান, গত বর্ষায়ও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। শনিবার সকালে সামান্য বৃষ্টিতে আরো খারাপ অবস্থা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন মুহাম্মদ শারফু জানান, অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার কারণে রেললাইনের সংযোগস্থল সড়ক কাদায় একাকার। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ যাতায়াত করে। রেলওয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অন্য কোনো প্রকল্প থেকে বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রেললাইনের আন্ডারপাস নির্মাণ কাজে দায়িত্বশীল মো. মোরশেদুল ইসলাম জানান, পশ্চিম আমিরাবাদ খান সাহেব সড়কের সংযোগস্থল এলাকায় রেললাইনে আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আন্ডারপাস ও মাটির কাজের সেকশন আলাদা। স্থানীয়দের অনুরোধে কয়েকদিন আগে সড়কের আন্ডারপাস এলাকায় মাটি দেয়া হয়েছে বলে জেনেছি। ফলে বৃষ্টিতে মাটি কাদায় পরিণত হয়েছে।












