কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার কমতি ছিলনা সেই শুরু থেকেই। নানাভাবে এই আরটিকে নিয়ে সন্দেহ পোষন করছিল ইউরোপিয়ানরা। তবে সবকিছুকে পেছনে ফেলে কাতার দারুন এক আয়োজন করেছে। নানা অঘটনের জন্ম দেওয়া কাতার বিশ্বকাপ ধীরে ধীরে চলে আসছে শেষের দিকে। এরই মধ্যে আসরে দারুণ একটি রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোয় খেলছে সব মহাদেশের দল। যা আগে কখনোই হয়নি। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। পর দিন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এই কথা জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের রেকর্ড তিনটি দল উঠেছে নকআউট পর্বে। দলগুলো হচ্ছে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া, ‘ই’ গ্রুপ থেকে জাপান এবং ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে মরক্কো ও সেনেগাল। এই দুই দলই আফ্রিকার। এর আগে ২০১৪ ব্রাজিল আসরে আফ্রিকা থেকে নকআউট পর্বে উঠেছিল আলজেরিয়া ও নাইজেরিয়া।
ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গারের মতে এটা বিশ্ব জুড়ে ফুটবলের উন্নতি এবং অগ্রগতির লক্ষণ। গ্রুপ পর্বের ফলাফল থেকে দেখা যায় সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনেক দেশ কতটা শক্তি অর্জন করেছে। ভালো প্রস্তুতি ও প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করার ফল এটি। একই সঙ্গে এখানে প্রযুক্তির সুবিধার প্রতিফলন রয়েছে এবারের বিশ্বকাপ আসরে। বিশ্বব্যাপী ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর জন্য ফিফার প্রচেষ্টার ফল হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সাফল্যকে। ফিফা জানিয়েছে গ্রুপ পর্বের ৪৮টি ম্যাচে মোট ২৪ লাখ ৫০ হাজার (ধারণক্ষমতার ৯৬ শতাংশ) দর্শকের উপস্থিতি ছিল।
যা ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র আসরের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। লুসাইল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি উপভোগ করেন ৮৮ হাজার ৯৬৬ দর্শক। ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল-ইতালির ফাইনালের পর যা সর্বোচ্চ। ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ২-০ গোলে। যুক্তরাষ্ট্রের রোজ বোলে ইতালিকে হারিয়ে ব্রাজিলের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলার ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করেন ৯৪ হাজার ১৯৪ জন।
এছাড়াও এবারের বিশ্বকাপকে নানা দিক থেকে সফল মনে করছে ফিফা। প্রথমবারের মত এবারের বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ন এক ম্যাচ পরিচালনা করে তিন নারী রেফারী। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম।