হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার জানাজা গতকাল শুক্রবার কাতারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহার উত্তরে একটি বড় মসজিদে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। এসময় হামাসের নতুন নেতা হিসেবে প্রস্তাবিত খালেদ মেশালসহ হামাসের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল–থানি উপস্থিত ছিলেন। হানিয়াকে দোহার উত্তরের লুসেইল শহরের একটি কবরস্থানে দাফন করা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। হানিয়ার কফিন ফিলিস্তিনের পতাকা দিয়ে ঢাকা ছিল। কফিনটি জানাজায় উপস্থিত লাখো মানুষের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। একই হামলায় নিহত হওয়া তার দেহরক্ষীর কফিনও সেখানে রাখা হয়েছিল।
হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি জানাজার সময় বলেন, আমাদের বার্তা হলো, তুমি মাটির গভীরে ডুবছো এবং তোমার শেষ কাছাকাছি চলে এসেছে। হানিয়ার রক্ত সব হিসাব বদলে দেবে। হানিয়াকে তেহরানে একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় সরাসরি আঘাত করে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছেন হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা খালিল আল–হাইয়া। ইরান ও হামাস উভয়েই ইসরায়েলকে এই হত্যার জন্য দায়ী করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। ইসরায়েল হত্যার দায় স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।
এই হত্যাকাণ্ডটি এমন একাধিক হামলার মধ্যে একটি, যা হামাস বা লেবাননের হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে। এতে গাজার যুদ্ধ একটি আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা লোহিত সাগর থেকে লেবানন–ইসরায়েল সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।