ছোট্ট বেলায় পত্রিকা পড়া
আজাদী হাতে নিয়ে,
দুরুদুরু বুকে দাঁড়াতে হতো
দাদুর পাশে গিয়ে।
দাদু বলতেন বড় করে পড়
বড় লেখাগুলো আগে,
ষাট বছর পেড়িয়ে এসেছি
স্মৃতিগুলো মনে জাগে।
এক নিশ্বাসে পড়ে নিতাম
বড় বড় লেখাগুলো,
পড়ার বেগে উড়ে উড়ে যেত
ললাটে থাকা ধুলো।
দাদু এবার রেগে বলতেন
কী পড়িস সব ছাই পাশ,
দূরে চেয়ে দেখি লাল গরুটা
চেয়ে দেখে আর খায় ঘাস।
দাদু বলতেন – পড়ে নিজে বুঝ
বুঝাবি আমায় পড়ে,
লাল গরুটা মিটি মিটি হাসে
মুখ ঢেকে আছে খড়ে।
কিই বা বুঝি তখন তো হায়
পড়তে জানি শুধু,
মর্ম অর্থ খুঁজতে গেলে
মাথার ভিতর ধু ধু।
সেই আজাদী এখনো অজেয়
পরমার্থ বয়ে,
সেই আমি আজ জর্জরিত
শক্তি গিয়েছে ক্ষয়ে।
তবু আজ যেন সকাল বেলা
আজাদীর পাতা খুলে,
অন্য রকম ভালো লাগায়
চিত্ত উঠে দুলে।
জীবন সে তো সুখে দুঃখে
কেটেই যাবে সময়,
যতোদিন বাঁচি মন ও মননে
কাটুক আজাদীময়!