কাজের ব্যাপারে আরেকটু আত্মবিশ্বাসী করে তুলল

আলম খোরশেদ | বৃহস্পতিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

আলম খোরশেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, পুরস্কার আনন্দের বিষয়। পুরস্কার পেলে সবাই আনন্দিত হয়। আমিও ব্যতিক্রম নই। পাশাপাশি এ পুরস্কার আমার কাজের ব্যাপারে আমাকে আরেকটু আত্মবিশ্বাসী করে তুলল। বিষয়টা এমন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি, এখন অন্তত একটা মানদণ্ডে নিশ্চই পৌঁছেছে, তা না হলে স্বীকৃতিটা আসত না। তিনি বলেন, পুরস্কার পাওয়ায় আমার দায়টাও বেড়ে গেল।

এত মানুষজন আমাকে অভিনন্দিত করছে তাদের প্রতি আমার অঙ্গীকার বা দায়টা এমন, আমাকে আরো কাজ করতে হবে। দেশের জন্য, মানুষের জন্য আমাকে আরো বেশি কাজ করতে হবে এবং ভালো কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আনন্দের মধ্যেও দুঃখের অনুভূতি হচ্ছে আমার মাবাবা বেঁচে নাই। ওরা যদি বেঁচে থাকত আমার আনন্দটা একদম পূর্ণ হত। কারণ ওনারাই তো আমাকে লেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ আমাকে অভিনন্দিত করছে। এটাও ভালোলাগার বিষয়। নিরবে ঢাকা থেকে অনেক দূরে চট্টগ্রামে বসে কাজ করে গেলেও মানুষজন সে কাজগুলো লক্ষ্য করেছে এবং তার মূল্যায়ন করেছে। আমার আনন্দে তারা আনন্দিত হচ্ছে, এটা বিরাট ব্যাপার। কারণ, আজকাল তো মানুষ স্বার্থপর ও আত্মনির্ভর হয়ে গেছে। আমার আনন্দে খুশি হওয়ার তাদের কি এমন দায় পড়েছে? কিন্তু আসলেই তারা খুশি হয়েছে। এটাও একটা গভীর অনুভূতি আমার জন্য। তিনি বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কবিতা লিখতাম। তখন কিন্তু আমি বিশ্বসাহিত্যের অনুরাগী ছিলাম, প্রচুর পড়তাম।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের জন্য কবিতা নিয়ে গেলে সম্পাদকরা বলতেন, ‘এত বিশ্বসাহিত্য পড় সেগুলো অনুবাদ কর না কেন?’ বিশেষ করে আহসান হাবীব, সিকদার আমিনুল হক এবং আবুল হাসনাত আমাকে উদ্বুদ্ধ করতেন। সেখান থেকে উৎসাহ পেয়ে অনুবাদ শুরু করেছিলাম। এমনকি বিদেশি ভাষাও শেখা শুরু করলাম। তখনি ফরাসি ভাষা শেখা শুরু করি। অর্থাৎ ওই সময় থেকে আমার একটা চিন্তা ছিল, বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছানো এবং বিশ্বসাহিত্যকে আমাদের এখানো পৌঁছানোর বিষয়টি।

পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য যখন আমেরিকা যাই সেখানেও ফাঁকে ফাঁকে একই কাজ করেছি। চেষ্টা ছিল বিশ্বের ভাষার সঙ্গে আমাদের ভাষার মেলবন্ধন করার। তখন কিন্তু পুরস্কারের প্রত্যাশা ও এবং স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় এসব করিনি।

প্রসঙ্গত, আলম খোরশেদের এ পর্যন্ত ১৮টি অনুবাদের বই বেরিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধযাত্রাশিল্পকে বাঁচাতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে