বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা দেশের সম্মানকে উর্ধে তুলে ধরছে একের পর এক। মাত্র কদিন হলো নারী ফুটবলাররা এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে। যা বাংলাদেশের নারী ফুটবলে প্রথম এবং নারী এবং পুরুষ মিলিয়ে দ্বিতীয়বার। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপেও দারুন সুচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার দেশের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে অনূর্ধ্ব–১৮ হাকি খেলোয়াড়রা। চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠানরত অনূর্ধ্ব–১৮ উইমেন’স এশিয়া কাপ হকির শেষটা জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ নারী হকি দল। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাজাখস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে মেয়েরা পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক। যা নারী হকিতে অনেক বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
চীনের দাঝুতে গতকাল রোববার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৬–২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টপ–ফোর পুলে নিজেদের শেষ ম্যাচেও কাজাখস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচটি ২–২ ড্র হওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচও তাদের বিপক্ষে খেলতে হয় আইরিন–শারিকাদের।
দলের জয়ে দারুণ এক হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন আইরিন রিয়া। একবার করে জালে বল পাঠিয়েছে শারিকা রিমন, কনা আক্তার ও রাইসা রিশি। শক্তিশালী জাপানের বিপক্ষে ১১–০ গোলে হেরে পুল পর্ব শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর উজবেকিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে সেরা চারের মঞ্চে ওঠার কীর্তি গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। টপ–ফোর পুলে অবশ্য বাংলাদেশ দেখাতে পারেনি কোনো চমক। চীনের বিপক্ষে ৯–০ গোলে হারের পর কাজাখস্তানের সাথে করে ড্র। যেকারণে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামতে হয় সেই কাজাকাস্তানের বিপক্ষে। এবার অবশ্য সফল হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আইরিন আক্তার রিয়া তিন গোল করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ম্যাচে অবশ্য প্রথম গোলটি করেছিল কাজাখস্তান। এরপর রিয়ার হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে। ৩–১ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারে গোল করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক রিমন সারিকা। শেষ কোয়ার্টারে কনা ও নিনিসেন রাখাইন গোল করলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। কাজাখস্তান ৫৯ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছে। মেয়েরা দারুণ খেলে ব্রোঞ্জ পদক জিতলেও ছেলেরা কিন্তু পারেনি। একই দিনে ব্রোঞ্জ পদক নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের ছেলেরা ৫–২ গোলে হেরে যায় মালয়েশিয়ার কাছে। ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টার পর্যন্ত ২–২ গোলে সমতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে টিকে থাকতে পারেনি বাংলাদেশের ছেলেরা। ফলে চতুর্থ স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ছেলেদের দলকে।