কাজল চোখে দেওয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন চিকিৎসক গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে কিশোরী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। ওই চিকিৎসকের কাজল চোখ দেওয়ায় নির্যাতনের শিকার হয় কিশোরীটি। পরে তাকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পাশাপাশি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেন থানার ওসি (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া। গ্রেপ্তার চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মরত ও এমবিবিএস ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারের (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
তবে শুক্রবার ওই চিকিৎসক আদালতে জামিন পেয়েছেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। অভিযোগকারী কর্তৃক অভিযোগ প্রত্যাহারের কথাও শোনা যায়। তবে ওসি (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, অভিযোগ প্রত্যাহার সংক্রান্ত অফিশিয়াল কোনো কাগজ আমরা এখনো পাইনি। তবে অভিযোগকারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি।
নগরীর চান্দগাঁও থানায় দায়েরকৃত এজাহারে আব্দুল গণি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের ১৩ জুলাই তার মেয়ে তসলিমা চিকিৎসক নাহিদার বাসায় কাজে যোগ দেয়। তিন মাস আগে থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাসায় সশরীরে এসে এবং মোবাইলে চেষ্টা করেও তিনি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।
বৃহস্পতিবার মেয়ের খোঁজে ওই বাসায় আসার পর চিকিৎসক তাকে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বাসার সামনে অবস্থানের পর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বাসা থেকে তসলিমাকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসক নাহিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আব্দুল গণি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, গত ১৮ জুলাই ড্রেসিং টেবিলের নিচে পড়ে যাওয়া একটি কাজল ঘর পরিস্কারের সময় সে পায়। কৌতূহলবশত ওই কাজল চোখে ব্যবহার করে সে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদা তাকে জখম করে এবং গলা টিপে ধরেন। পরদিন তাকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি সেলুনে নিয়ে চুল কেটে দেন। এ সময় মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন চিকিৎসক নাহিদা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিগগিরই করোনার টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধএক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ হাজার কন্টেনার