গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বারে বারে এদেশে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, প্রতিটির পর কিছু প্রাথমিক অগ্রগতি ঘটেছে, কিন্তু কোনোবারেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। এ থেকে হতাশ না হয়ে এর কার্যকারণ অনুসন্ধান করাটা জরুরি। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ তাদের স্বার্থে যদি ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি গড়ে না উঠে, তাহলে ৭১, ৯০ এর মতো ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সুফল থেকেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বঞ্চিত হবে, সত্যিকারের আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন হবে না। এ জন্য আজ প্রয়োজন সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের সংগঠিত শক্তি ও অবস্থান গড়ে তোলা।
গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহুরিন সবুরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক দীপা মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও অনুবাদক জি এইচ হাবীব, চবি শিক্ষক মুনমুন নেসা চৌধুরী, সুফি স্পিরিচ্যুয়াল ফাউন্ডেশনের খাজা ওসমান ফারুকী, এডভোকেট হাফিজ আহমেদ, শহীদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারের সদস্য মো. জোবায়ের, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি পুষ্পিতা নাথ, সিয়াম এলাহী।
আনু মুহাম্মদ বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে গণঅভ্যুত্থানে। আন্দোলনের ফসল অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস হতে যাচ্ছে। শুরুতেই তাদের করণীয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল, যার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।