কাঙ্ক্ষিত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৭ জুন, ২০২৪ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়া এবং ওমান। শক্তির বিচারে তফাতটা আকাশ আর পাতাল। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার ফেবারিট। জয়ের ব্যবধানটা কত বড় হয় সেই অপেক্ষাই করছিল সবাই। কিন্তু ওমানকে একেবারে ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে পারেনি প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া। টপ অর্ডারের ব্যাটাররা পারেনি ঝড় তুলতে। তবে দায়িত্বটা ঠিকমতই পালন করেছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিডল অর্ডারে স্টয়নিস। এদুজন অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিলেন বড় পুঁজি। পরে বল হাতেও সফল স্টয়নিস। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওমানের বিপক্ষে সহজ জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বারবাডোজের ব্রিজটাউনে ৩৯ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অসিদের ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওমান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় ওভারে ফিরেন আইপিএলে ঝড় তোলা ট্রাভিস হেড। পাওয়ার প্লেতে আসে ১ উইকেটে ৩৭ রান। যা অস্ট্রেলিয়ার মত দলের জন্য বড়ই বেমানান। নবম ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে জোড়া ধাক্কা দেন মেহরান খান। বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন মিচেল মার্শ। ২১ বলে মাত্র ১৪ রান করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। পরের বলে কাভারে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে গ্লেন ম্যাঙওয়েলের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন আকিব ইলিয়াস। দশ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৬ রান। অষ্টম ওভার থেকে ত্রয়োদশ ওভার পর্যন্ত টানা ৩৩ বল কোনো চার মারতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ত্রয়োদশ ওভারে জিশান মাকসুদের শেষ দুই বলে চার মারেন ওয়ার্নার। পরের ওভারে উইকেটের পেছনে স্টয়নিসের ক্যাচ ছাড়েব প্রাতিক আথাভেল। জীবন পেয়ে পঞ্চদশ ওভারে মেহরানের ওপর ঝড় বইয়ে দেন স্টয়নিস। ৪টি ছক্কায় ওভার থেকে তিনি নেন ২৬ রান। একশ পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৭ তম ওভারে বিলাল খানের বল ছক্কা মেরে মাত্র ২৮ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন স্টয়নিস। পরের ওভারে শাকিল আহমেদকে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার মাত্র ৪৬ বলে। ৫ বল পর কলিমউল্লাহকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ওয়ার্নার। ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৬ রান। এরফলে অ্যারণ ফিঞ্চকে টপকে আন্তর্জাতিক টিটোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চের রান ৩১২০। আর ওয়ার্নারের রান ৩১৫৫। ওয়ার্নারের বিদায়ে ভাঙে ৬৪ বলে ১০২ রানের জুটি। পরে টিম ডেভিডকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন স্টয়নিস। প্রথম ১৪ ওভারে ৮০ রান করা অস্ট্রেলিয়া শেষের ৬ ওভারে নেয় ৮৪ রান। আর তাতে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। স্টয়নিস ৩৬ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। যেখানে তিনি ২ টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মারেন।

১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ৬ রানে প্রথম উইকেট এবং ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হায় ওমান। এরপর স্টয়নিসের আঘাত। তার প্রথম শিকার ১৮ রান করা আকিব। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা করে মাত্র ২৯ রান। দলীয় স্কোর ৬০ হওয়ার আগেই ওমান হারায় আরও ৩ উইকেট। এরপর চেষ্টা করেন আয়ান খান এবং মেহরান। আয়ান খান ৩০ বলে ৩৬ ও মেহরান ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে কোনোমতে একশ পার করান। পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগেনি তাদের প্রচেষ্টা। শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানে থামে ওমান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্টয়নিস ১৯ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান এলিস ও অ্যাডাম জ্যাম্পা নেন ২টি করে উইকেট। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পাশাপাশি ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার লাভ করেন স্টয়নিস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৪ মাস পর মুক্ত হলো জিমনেসিয়াম
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপে উগান্ডার ঐতিহাসিক জয়