কাউন্সিলরের ভুয়া প্যাড, সিল, নমুনা স্বাক্ষর ব্যবহার করে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী এই মামলা করেন।
মামলার আসামি হলেন মধ্য হালিশহরের আবদুল গণি কন্ট্রাক্টর বাড়ির মো. আবুল হাসেম, ডেইজী আকতার, কোহিনুর আকতার, একই এলাকার মো. হোসেন শরীফ, মো. আমিন শরীফ ,আলতাজ বেগম, নুর বেগম, রেজিয়া বেগম, কামরুন নাহার মনু ও গোলনাহার বেগম। বাদীর আইনজীবী মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান আজাদীকে বলেন, আদালত আমাদের অভিযোগটি করে পিবিআইকে তদন্ত করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ভুয়া প্যাড, সিল, নমুনা স্বাক্ষর সৃজনের দায়ে দণ্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭২/৩৪ ধারায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, আসামি আবুল হাসেম গতবছরের ১৩ ডিসেম্বর কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত দুইটি ওয়ারিশ সনদপত্রের ফটোকপি সত্যায়িত করতে গেলে কাউন্সিলরের সন্দেহ হয় এবং তাকে চ্যালেঞ্জ করেন যে উক্ত সাক্ষর তার নয়। হাসেমও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে কাউন্সিলর ওয়ারিশ সনদের বালাম বই পরীক্ষা করেন। বালাম বইয়ে দেখা যায় তার নামে কোনো ওয়ারিশ সনদই ইস্যু করা হয়নি। মূলত বেড়িবাঁধের ভূমি অধিগ্রহণের সরকারি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুয়া প্যাড, সিল, নমুনা সাক্ষর সৃজন করে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করা হয়েছে।