রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার তারাবুনিয়া এলাকায় ইটের ভাটায় শ্রমিককে জিম্মি করে শারীরিক নির্যাতন ও চাদাঁবাজির অভিযোগে ইটভাটার এক মালিককে আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলো কেএমবি ইটভাটার মালিক মো. ফারুক(২৮)।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদউল্ল্যাহ পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন গ্রেফতারকৃত ফারুককে রাঙামাটির আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কেএমবি ইটভাটার মালিক মো. ফারুক হতে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা এলাকার মো. তারেক নামে জনৈক মাঝি ইটভাটায় শ্রমিক দেয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেয়ার পর সেখানে কিছু শ্রমিকও প্রেরণ করে। সেই শ্রমিকদের সাথে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজন শ্রমিক আসে ইটভাটায় কাজ করার জন্য। উক্ত শ্রমিকরা ইটভাটায় গত দেড়মাস ধরে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত কাজ করতে থাকলেও কোনো প্রকার টাকা-পয়সা না দিয়ে মাঝি মো. তারেকের থেকে আরো টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে ইটভাটার মালিক ফারুক।
এসব শ্রমিকদের দিনের বেলায় ইটভাটায় কাজ করিয়ে রাতের বেলায় শিকল দিয়ে বেধে রাখা এবং মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে শ্রমিক জাহাঙ্গীরের খালা মুক্তা বেগম নোয়াখালী থেকে বিষয়টি নিয়ে ইটভাটার মালিক মো. ফারুকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এবং মো. ফারুক কয়েক দফায় বিকাশের মাধমে ৯৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এরপরও মো. ফারুক তাদেরকে ছেড়ে না দিয়ে পুনরায় মারধর করেন বলে জানান।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরের খালা নগদ আরো কিছু টাকা নিয়ে এসে বিষয়টি নাইল্যাছড়ি পুলিশ ক্যাম্পে জানালে গত শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাদেরকে ইটভাটায় শিকল বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে কাউখালী থানায় নিয়ে আসে।
শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় কেএমবি ইটভাটার মালিক মো. ফারুককে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে শ্রমিক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে কাউখালী থানায় শারিরীক নির্যাতন ও চাঁদাবাজির মামলা করেছে।
অপর আসামীরা হলো ইটভাটার মালিক মো. ফারুকের ভাগ্নে মো. হৃদয়(২৫) ও নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাইজদির আবুল কালামের ছেলে মাঝি মো. তারেক (৪০)।
গ্রেফতারকৃত মো. ফারুকের বিরুদ্ধে পূর্বে একটি ডাকাতি মামলা ও রাঙ্গুনীয়া থানায়ও বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলে কাউখালী থানা পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদউল্ল্যাহ জানিয়েছেন অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।