বিশ্বকাপে বড় স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। স্বপ্নসারথীদের সামনের সারিতেই ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও তার সতীর্থ পেসাররা। মূল মঞ্চে এসে এখনও তারা নিষ্প্রভ। কেউই জ্বল জ্বলে তারা হয়ে দলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারেননি। বিশ্বকাপের শুরুর তিন ম্যাচে খেলেছিলেন তাসকিন, পেয়েছেন কেবল দুই উইকেট। এরপর ইনজুরিতে ভারতের পর খেলা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও। তখন সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, পরের চার ম্যাচ পাওয়ার জন্য তাসকিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে বলও করেছেন তাসকিন। শনিবার তার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামাও অনেকটা নিশ্চিত। তাসকিন বলেন, ‘কাঁধের চোট প্রথম হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। আমার টেনডনে একটু টিয়ার আছে এটা ম্যানেজ করেই খেলছি। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপে এভাবেই খেলছি। হঠাৎ একটু বেড়ে যাওয়ায় ম্যানেজমেন্ট, ডাক্তার সবাই দেখলো ফুলে গিয়েছে। তখন একটু বিশ্রাম নিয়ে এখন আল্লাহর রহমতে ভালো বোধ করছি।’ ‘আমি সবসময় খেলতে চাই। যুক্তরাজ্যে পাঠানোর পর সার্জন বলেছিল সার্জারি করলে কোনো গ্যারান্টি নাই। এক বছর বাইরে থাকা লাগবে। আবার চাইলে দেড় মাসের মত রিহ্যাব করলে হয়তো ঠিক হয়ে যেতে পারে। পেসার হিসেবে সবারই কমবেশি নিগল থাকে। ম্যানেজ করেই খেলতে হয়। সবাই দোয়া করবেন যেন আমার কাঁধের চোটটা ভালো হয়ে যায়।’ বিশ্বকাপের আগে বড় আশা থাকলেও টুর্নামেন্টে এসে হতাশ করেছেন পেসাররা। পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের মোট ২৯ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রতি ম্যাচেই তিনজন করে পেসার খেললেও তারা নিয়েছেন কেবল ১৩ উইকেট, ওভারপ্রত তারা খরচ করেছেন ৬.৮৩ রান। বিপরীতে স্পিনাররা প্রায় সাত ওভার কম বল করে পেয়েছেন ১৬ উইকেট।
ওভারপ্রতি তারা রান দিয়েছেন ৫.৮১ রান। তিনি বলেন, ‘আসলে পেস বোলিং গত কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। ৫ ম্যাচে আমরা তেমন ভালো করতে পারিনি। পেসাররা সাহায্য পাচ্ছে না এটা মনে না করে আমরা আমাদের নিজেদের দিকেই ফোকাস করছি। আমরা কীভাবে আরও ভালো করতে পারি। অনুশীলন করছি, নিজেরা আরও কাজ করছি। মিটিং করছি নিজেরা মিলে। পরের ৪ ম্যাচে লক্ষ্য হবে যা করেছি তার থেকে আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়। আমরা ভালো না করলে জেতাও কঠিন। ইনশাআল্লাহ আমরা ভুল থেকে শিখে ভালো কিছু করবো।’