ফের বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে গত দুইদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এর প্রভাবে খুচরা বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, কাঁচা মরিচ এমন কোনো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না। তারপরেও লাফিয়ে লাফিয়ে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। গত বছরও একবার কাঁচা মরিচের দাম দুইশত টাকা ছাড়িয়ে যায়। এবার খরা ও তীব্র তাপে দেশে কাঁচা মরিচের ফলন নষ্ট গেছে এমন অজুহাত দাঁড় করায় ব্যবসায়ীরা। যেহেতু দেশে ফলনের ক্ষতি হয়েছে, তাই সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, তারপরেও কাঁচা মরিচের লাগামহীন দাম মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনকে বলবো, বাজারে যাতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।
গতকাল বিকেলে নগরীর ব্যাটারি গলি এবং কাজীর দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০–৪৮০ টাকায়। হঠাৎ এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কাজীর দেউড়ি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মোস্তফা কামাল বলেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন, বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট রয়েছে। আমাদের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়। এরমধ্যে অনেকগুলো মরিচ নষ্টও পড়ছে। চট্টগ্রামের বাজারে পাবনা থেকে সবচেয়ে বেশি কাঁচা মরিচ আসে। কিন্তু গত এক মাস ধরে কাঁচা মরিচের সরবরাহ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। শুনেছি পাবনাতে বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছগুলো মরে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়।
এমএম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, কাঁচা মরিচের এমন মূল্য বৃদ্ধি একেবারে অস্বাভাবিক। এখানে পরিষ্কার সিন্ডিকেট কারসাজি হচ্ছে। আসলে প্রশাসনের উচিত কাঁচা মরিচের বাজারে আলাদাভাবে নজরদারি করা।