কাঁচা বাজারে সবধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম চড়া। এরমধ্যে সম্প্রতি বৃষ্টির অজুহাতে শাক সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। সবজি বিক্রেতারা জানান, দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে সবজিবাহী ট্রাক আসা কমে গেছে। এছাড়া সবজির ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে। তাই বাজারে সবজির দাম বাড়তি। গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চিচিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এছাড়া বরবটি ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় এবং ঢেঁড়শ ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। অন্যদিকে আলু ১০ টাকা বেড়ে ৩৫–৪০ টাকা, পটল ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, কাকরোল ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, শসা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা এবং লাউ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (কাঁচা) ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (পাকা) ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকয়।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম জানান, চট্টগ্রাম শহরে বেশিরভাগ সবজি আসে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে। এছাড়া স্থানীয় উপজেলাগুলোর মধ্যে সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও হাটহাজারী থেকেও সবজি আসে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় উপজেলাগুলো থেকে সবজি আসা কমে গেছে। একইসাথে উত্তরাঞ্চল থেকেও সবজি সরবরাহ কমেছে। মূলত বৃষ্টির কারণে সেখানে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই বর্তমানে সবজির দামও বাড়তি। এমএম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, বর্তমানে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ সব ধরনের বাজারের দাম বাড়তি। এরমধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে সবজির বাজার। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে আয় রোজগার কমে গেছে। এরইমধ্যে দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্তদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের দেশে কাঁচা বাজার মনিটরিং হয় কেবল রমজান মাস এলেই। বাকি সময় প্রশাসন বাজারের দিকে নজর দেয় না। এই সুযোগটা ব্যবসায়ীরা প্রায় সময় নিয়ে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই দাম বাড়ানো হয়। তাই কাঁচা বাজারসহ সব ধরণের নিত্যপণ্যের বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি।