চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোর একাদশ শ্রেণি ভর্তিতে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছে। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৫ ডিসেম্বর রাত ১২টায় প্রথম পর্যায়ে আবেদনের এ সময়সীমা শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবেদনে এসব শিক্ষার্থীর কলেজ চয়েসের সংখ্যা ৭ লাখ ২২ হাজার ১৯৪টি বলেও জানান কলেজ পরিদর্শক। শিক্ষাবোর্ডের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার (২০২২ সালে) এসএসসি পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন। আর কলেজ ভর্তিতে আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জন। সে হিসেবে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এসএসসি উত্তীর্ণের তুলনায় ১ হাজার ৩৩৬ জন বেশি আবেদন করেছে এবার।
শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ছাড়াও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ অনেক শিক্ষার্থী কলেজ ভর্তিতে আবেদন করে থাকে। এছাড়াও আগের বছরে উত্তীর্ণদেরও আবেদনের সুযোগ থাকে। সে সুবাদে আগের দুই বছরে এসএসসি ও সমমান উত্তীর্ণদের অনেক শিক্ষার্থীও কলেজ ভর্তিতে আবেদন করে থাকতে পারে। এসব কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় কলেজ ভর্তিতে আবেদনকারীর সংখ্যা কিছুটা বেশি বলে মনে করেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।
এদিকে, প্রথম পর্যায়ের আবেদনের সময় শেষ হলেও পুনঃনিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন করে ২৬ ডিসেম্বর (একদিন) আবেদনের সুযোগ পাবে।
যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১ থেকে ৮ জানুয়ারি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩২৮ টাকা ফি পরিশোধ করে ভর্তির প্রাথমিক এ নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের।
এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই (মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হওয়া) শিক্ষার্থীকে পুনরায় ফি দিয়ে ২য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের ভর্তি নিশ্চায়ন শেষে ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ শেষে ১২ জানুয়ারি রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের মাইগ্রেশনের ফল ও ২য় পর্যায়ে মনোনীতদের ফল প্রকাশ করা হবে।
২য় পর্যায়ে মনোনীতদের ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই (মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হওয়া) শিক্ষার্থীকে পুনরায় ফি দিয়ে ৩য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে। ১৬ জানুয়ারি একদিন ৩য় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে।
আবেদন গ্রহণ শেষে ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় ২য় পর্যায়ের মাইগ্রেশনের ফল ও ৩য় পর্যায়ে মনোনীতদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩য় পর্যায়ে মনোনীতদের ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।
একাদশে ভর্তিতে আবেদনের সময়-সিডিউল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, নির্দেশিকা ও ফি প্রদানের পদ্ধতি ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd) -এর বাম পাশে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।