দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ল্যাবরেটরি তৈরি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিনে কলেজগুলোতে ল্যাবরেটরি তৈরির প্রধান এবং একমাত্র কারণ শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে গবেষণামুখী করা, শিক্ষার্থীরা যাতে ল্যাবের সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বিজ্ঞানের জগতে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু এসব ল্যাবরেটরি যদি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ ক্লাস চলাকালেই খোলা রেখে অন্য সময় বন্ধ রাখা হয়, তখন এগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য কীভাবে সাধিত হবে? গবেষণা একটি সৃজনশীল কাজ, আপনার ভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা কখন আসবে, সেটা কেউ জানার কথা নয়। ল্যাবরেটরি একটি নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখা মানে আপনাকে সৃজনশীল চিন্তাগুলো বেঁধে দেওয়া সময়ের মাঝেই করতে হবে, যেটা অত্যন্ত হাস্যকর ব্যাপার। আমাদের দেশে বেশির ভাগ ল্যাবরেটরিতেই এই নিয়ম চলে, যার ফলস্বরূপ আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ গবেষক তৈরি করতে পারছি না দেশে। মেধা পাচার হয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ গবেষণা জন্যে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। একজন ছাত্রকে গবেষকে পরিণত করতে পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনার পাশাপাশি কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা যদি গবেষণাগার ব্যবহারের অনুমতিটাই সীমিত করে দিই, তখন শত–সহস্র নবীন গবেষক অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা চলমান থাকবে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কলেজে ল্যাবরেটরি সর্বদা খোলা রাখার প্রত্যাশা রইল।
মোহাম্মদ আবুল কাশেম বিন করিম
শিক্ষার্থী,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি সিটি কলেজ চট্টগ্রাম।