কলম্বোতে স্কুল বন্ধ, জ্বালানি বাঁচাতে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম

| মঙ্গলবার , ২৮ জুন, ২০২২ at ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করা শ্রীলঙ্কার জ্বালানি সংকট কাটছেই না। সোমবার দেশটির সেনাদেরকে পেট্রল স্টেশনগুলোর লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনকে টোকেন দিতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে কলম্বো ও এর আশপাশের অঞ্চলের স্কুল বন্ধ রেখেছে, সরকারি কর্মীদেরকে পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ জুন দেশটি সরকারি কর্মীদেরকে দুই সপ্তাহ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলেছিল, কিন্তু জ্বালানি সংকট না মেটায় এখন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরে থেকে কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতিতে থাকা সোয়া দু্‌ই কোটি জনসংখ্যার দেশটি খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। চারদিন ধরে লাইনে আছি। এই সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক খেতে বা ঘুমাতে পারিনি, বলেছেন জ্বালানির জন্য টোকেন পাওয়া ৬৭ বছর বয়সী ডব্লিউ ডি শেলটন। হাতে টোকেন পাওয়ার অর্থ হচ্ছে, তাকে লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হবে, যতক্ষণ না জ্বালানি মেলে। আয় করতে পারছি না আমরা, যে কারণে পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতেও পারছি না, বলেন কলম্বোর কেন্দ্রস্থলের একটি জ্বালানি স্টেশনে ২৪ নম্বর সিরিয়ালে থাকা শেলটন।

তার গাড়িতে পর্যাপ্ত পেট্রল না থাকায় তিনি ৫ কিলোমিটার দূরের বাড়িতেও যেতে পারছেন না। রোববার শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা ভিজেসেকারা জানিয়েছেন, তাদের মজুদে এখন ৯ হাজার টন ডিজেল ও ৬ হাজার টন পেট্রল আছে। ওই মজুদে শিগগিরই আরও জ্বালানি যুক্ত করতে পারবে কিনা তারা, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। দেশটিতে গত সপ্তাহ থেকে জ্বালানির স্টেশনগুলোতে অপেক্ষারত মানুষের সারি দীর্ঘ হতে দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক, কবে শেষ হবে তা জানিওনা আমরা, বলেছেন শেলটন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশত বছরে প্রথমবার ঋণখেলাপি রাশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধসু চিকে মুক্তি দিতে জান্তার কাছে আসিয়ান দূতের অনুরোধ