ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়ার মাঠের লড়াইয়ে বাড়তি উত্তেজনা ছড়ায় খেলোয়াড় পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক। স্বাগতিক দল ম্যাচে মোট সাতজন খেলোয়াড় বদল করায় প্রতিবাদ জানায় সফরকারীরা। পরে অবশ্য অফিসিয়ালদের ব্যাখ্যা মেনে নেয় কলম্বিয়া দল। যদিও সাধারণ দর্শকদের মনে বিষয়টি ঘিরে প্রশ্ন কিছুটা রয়েই গেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ব্রাজিলের ২–১ গোলে জয়ের ম্যাচে, ৭১তম মিনিটে স্বাগতিক গোলরক্ষক আলিসন ও কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দাভিদসন সানচেসের সংঘর্ষ হয়। প্রচণ্ড ব্যথা পাওয়ায় দুজনের কেউই খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। ব্রাজিল অবশ্য ম্যাচের শুরুর দিকেই একটি পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়; ২৮তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার গেরসন, তার জায়গায় নামেন জোয়েলিনতন। তবে আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায় আলিসন ও সানচেসের সংঘর্ষ এবং চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার মধ্য দিয়ে। ওই ঘটনার ফলে দুই দলের সামনেই খুলে যায় অতিরিক্ত আরও দুজন খেলোয়াড় বদল করার পথ। কনমেবলের ‘আর্টিকেল ৯৬’ অনুযায়ী, খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে বা কনকাশন জনিত কারণে বদল আনতে হলে দুই দলই মোট সাতটি করে পরিবর্তন আনতে পারবে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুজনকেই মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে এবং তখন দুটি অতিরিক্ত পরিবর্তনের নিয়ম কার্যকর হবে। ব্রাজিল সুযোগটি কাজে লাগায়; কিন্তু কলম্বিয়া তা করেনি। যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ দিকে খানিক আগেই স্কোরলাইন ২–১ করা ভিনিসিউসকে তুলে ডিফেন্ডার ওরচিজকে নামান কোচ দরিভাল জুনিয়র, এটা ছিল তাদের সপ্তম পরিবর্তন, যা নিয়ে আপত্তি জানায় কলম্বিয়া। তবে সবকিছু নিয়মের মধ্যে হওয়ায় কলম্বিয়ানদের আপত্তি টেকেনি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এক লাফে দুইয়ে উঠেছে ব্রাজিল। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।