বেকার যুবকদের কাজের দাবি, রাজ্য পরিচালনা ব্যাপক দুর্নীতি, বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ-হত্যা এবং রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সহ কয়েক দফা দাবিতে গতকাল পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় ‘নবান্ন’ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি-র যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। কিন্তু বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারা তো বটেই, এমন কি কেন্দ্রীয় অনেক নেতাও হাজির ছিলেন মিছিলে। শীর্ষ নেতাদের সামনে রেখে হাওড়া শহর থেকে দুটি এবং কলকাতা থেকে দুটি মিছিল এগোতে গেলে পুলিশ সব জায়গাতেই আটকিয়ে দেয়। বারে বারে ঘোষণা করা হতে থাকে যে মিছিলের অনুমতি নেই। তাই বিজেপি কর্মীরা যেন ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগোনোর চেষ্টা না করেন। মিছিলকারীরা অবশ্য সেই নির্দেশে কান না দিয়েই ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করতে থাকেন। তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে লাঠি চালায়, তারপরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। সবশেষে বেগুনি রঙ গোলা জল স্প্রে করা শুরু হয় জল-কামান থেকে। বিজেপি কর্মীরা ভাঙচুরও চালান, ব্যাপক ইঁট বৃষ্টি হয়। মিছিলের ওপরে বোমা ছোঁড়া হয়েছে অন্তত এক জায়গায় – যেটা স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলি দেখিযয়েছে। বিজেপি দাবি করছে তাদের দুজন নেতা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর অন্তত হাজার খানেক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মিছিলের অনুমতি না থাকার কথা তারা যুব মোর্চার আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। খবর বিবিসি বাংলার।