কর্মে হও স্মরণীয়

শরণংকর বড়ুয়া | সোমবার , ২৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

আমাদের চার পাশে কিছু নোংরা মানুষ আছে সারাক্ষণ অন্যের ক্ষতি করতে চায়। ক্ষতি করে খুব আনন্দ পায়। মনে করে অন্যকে বিপদে ফেলে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে সে বুদ্ধিতে জিতে গেছে। ভাবে আমার বুদ্ধিতে তার কোনো শিক্ষা, জ্ঞান, বুদ্ধি কোনো কাজেই আসেনি। আমার কাছে হার মানতেই হলো। আসলে যাকে হারাতে চেয়েছে সহজ সরল মানুষটি হারেনি বা ঠকেনি। যে হারাতে চেয়েছিল সে নিজেই হেরে গেছে। আমাদের সংস্কৃতিতে এক ধরনের প্রথা প্রচলন শুরু হয়েছে। মানুষ মরে গেলে সকলের সামনে লাশের কাছে ক্ষমা চায়। লাশ কি ক্ষমা করতে পারে? এটা নিতান্তই নেকামি, দুঃখজনক বটে। এই ভাবে গ্রামে গঞ্জে চার পাশে বিভিন্নভাবে প্রতিটি কিছুতে নোংরামি ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজ ব্যবস্থায়, ধর্মের ভিতর, বাড়িতে একে অপরের মধ্যে। অযোগ্য ব্যক্তিরা ক্ষমতা পেলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। যা কখনোই কাম্য নয়। নীতিহীন মানুষের মধ্যে নেশা হয়ে পড়েছে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে মহান নেতা বনে যাওয়ার। নেত্রীত্বের জন্য চাই স্বচ্ছতা কলঙ্কমুক্ত এবং সৎ চরিত্রের মানুষ। তা না হলে সমাজের চারপাশ কালো আঁধারে ঢেকে যাবে। আমাদের খারাপ দিক হচ্ছে সহজে অন্যের ভুলটা সরাসরি ধরি, সমালোচনা করি এবং অন্যের মানসম্মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি কতটুকু সৎ ভালো তা নিজেকে একবার ও প্রশ্ন করার সময় পাই না বা আত্ম সমালোচনা করি না। সুনাম অর্জন করা, শ্রদ্ধার পাত্র হওয়া এত সহজ নয়। এর জন্য ধর্য্য, সহ্য, জ্ঞান, চরিত্র ও সুশিক্ষার প্রয়োজন। সকলে মৃত্যুর পাল নিয়ে সর্বক্ষণ বিচরণ করছি। এই কথাটা মাথায় রেখে যদি আমরা ভালো চলি, ভালো কাজ করি ক্ষতিটা কোথায়? কথায় আছে-‘যে আলো জ্বালায় সমাজের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তোমারই কাজে। সমাজ তোমাকে করবে বরণীয়। তুমি তোমার কর্মে হও স্মরণীয়’। যতই বাড়াবে পাপ, ততই বাড়বে দুঃখের তাপ। সকলের সুবুদ্ধি উদয় হোক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাই
পরবর্তী নিবন্ধস্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন গ্রাফিতি রিমোভাল ইউনিট