ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগে। তবে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এখনো শুরু হয়নি ব্যস্ততা। স্বাভাবিক দিনগুলোতে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে রাস্তার দুই পাশে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি থাকত। এছাড়া শ্রমিকের হাঁকডাকে কর্মচঞ্চল থাকত পুরো এলাকা। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে অনেক শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগ না দেয়ায় সুনসান অবস্থা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটির প্রথম সপ্তাহে সাধারণত বাজারে ক্রেতার খুব একটা দেখা মিলে না। ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা শুরু করেছেন। তবে বাজারে ক্রেতা নেই। তাই দোকানের কর্মচারীরা খোশগল্প করে সময় পার করছেন।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার বলেন, খাতুনগঞ্জের প্রায় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো কাজে যোগ দেয়নি। তারা কাজে যোগ দিতে সপ্তাহখানেক লেগে যেতে পারে। তাই অনেকে এখনো প্রতিষ্ঠান খুলেননি। ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী এক প্রকার নিয়মরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী আলাউদ্দিন আলো বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বেচাকেনার অবস্থা খারাপ। কারণ মানুষ ঈদের আগে ভোগ্যপণ্যের বাজারে খুব একটা আসে না। এছাড়া ঈদের পরের সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত একই অবস্থা চলে। বেচাকেনা না হলেও বিভিন্ন পার্টির সাথে ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য হলেও প্রতিষ্ঠান খুলতে হয়। চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উল্লাহ আজাদীকে বলেন, বাজারে এই মুহূর্তে ক্রেতার সংকট রয়েছে। এছাড়া চালের বাজারও স্থিতিশীল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান চাল আসছে, তাই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের বিষয়ও আছে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন আজাদীকে বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসা বাণিজ্যের আমেজ এখনো ফেরেনি। ক্রেতা না থাকায় ব্যবসায়ীদের সারা দিন অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া এখনো অনেক দোকানের শ্রমিক-কর্মচারীরা গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরেনি। যার ফলে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে চিরচেনা ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে না। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহে শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিলে পুরোদমে কর্মচঞ্চল হবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ।