বিলস–লেবার রিসোর্স এন্ড সাপোর্ট সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে চট্টগ্রামে পরিবহন খাতে ৪৯ জন, নির্মাণ খাতে ৩৫ জন, জাহাজ ভাঙা খাতে ৭ জনসহ মোট ২৩৮ জন শ্রমিক কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের স্মরণে বিলস চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্কের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় চেরাগীর মোড়ে সমাবেশ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শ্রমিকনেতা উজ্জ্বল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং এডভোকেট মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিলস–এলআরএসসি’র চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিলস কর্মকর্তা রিজওয়ানুর রহমান খান, টিইউসিরর চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, শ্রমিক লীগের সৈয়দ আহাম্মদ বাদল, ফজলুল কবীর মিন্টু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহ–সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জাহিদ উদ্দিন শাহিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের মোহাম্মদ আলী, জাতীয় শ্রমিক জোটের জাকির, মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের শাবনাজ প্রমুখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নুরুল আবছার তৌহিদ, তাজ মো. আলমগীর, মো. জাবেদ, নুরুল কবির স্বপন, হাসান মাহমুদ, মো. আলমগীর, ফজলুল আলম প্রিন্স, আরিফ, অপু সিংহ, নার্গিস, মেহেদী হাসান, জ্যোৎস্না আক্তার, আলেয়া বেগম, দেলোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, বিবি আসমা, সালেহা বেগম, রিবা আক্তার, গুলজার বেগম, জান্নাত প্রমুখ।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রম আইনে কোনো শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেলে ২ লাখ এবং চিরতরে পঙ্গু হলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। এটা যেন শ্রমিকদের দারিদ্রতার সাথে চরম উপহাস। তারা আইএলও কনভেশন ১২১ এর সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নিহত ও আহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমান এবং ভোগান্তি হিসাব করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানান। এর জন্য শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের দাবিও জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।