ভারতের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বিধানসভার নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পেতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন দল কংগ্রেস, ইতোমধ্যেই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি দলীয় বাসবরাজ এস বোম্মাই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলে রাজ্য বিধানসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১৩৪ আসনে এগিয়ে ছিল বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এগিয়ে আছে মাত্র ৬৫টি আসনে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল (সেক্যুলার) এগিয়ে আছে ২২ আসনে। রাজ্যে সরকার গড়তে প্রয়োজন ১১৩ আসন, যা স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর সকাল ১০টার মধ্যেই পেয়ে যায় কংগ্রেস। খবর বিডিনিউজের।
শনিবার হার স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বলেন, প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) ও বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারিনি। পূর্ণ ফলাফল পাওয়ার পর আমরা বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখবো। রাজ্যের কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, আগেই বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী মোদীও যদি আসেন, তা হলেও কিছু হবে না। এবার দেখুন কী হল। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচারের শেষ ১০ দিনে মোদী সেখানে ১৭টি সভা করেছিলেন, রোড শো করেছেন অন্তত ১০টি।
মোদীর পাশাপাশি বিজেপি দলীয় কেন্দ্রীয় নেতা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্ণাটকে ঘাঁটি গেড়ে সাতদিন সেখানে ছিলেন, চালিয়েছেন প্রচারণা। এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের বিজেপি দলীয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানসহ অনেক বিজেপি হেভিওয়েট কর্ণাটকে প্রচারণা চালালেও শেষ রক্ষা হয়নি। পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১০৪ আসন পেয়ে রাজ্যের সবচেয়ে বড় দল হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু এবার পুরো চিত্রটাই বদলে গেছে। ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মোদী হিন্দু দেবতা হনুমানকে (বজরঙ্গবলী) নিয়ে ধর্মীয় কার্ড খেললেও তা কাজে দেয়নি।










